এক দো’য়া এই মুভিটি অনেক ছোট এবং একটি সাধারণ গল্পের উপর তৈরি একটি সিনেমা কিন্তু বিশ্বাস করুন এই মুভির গল্পের সমাজের এমন একটি অন্ধকার দিককে তুলে ধরা হয়েছে যা হয়তো সব সময় আপনার আমার চোখের আড়ালে থেকে যায়। প্রত্যেকটি ছেলে এবং মেয়েরে মুভিটি দেখা উচিত, হয়তো আমি আপনি অন্ধকারে নেই কিন্তু আমাদের আশপাশের অনেক মানুষ এখনো এই অন্ধ কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি তো চলুন জেনে আছে এই মুভির কাহিনী
মুভির শুরুতেই আবিদা নামক একজন মহিলাকে দেখানো হয় সে তার মেয়ে দু’য়া কে নিয়ে বাজারে এসেছে যে দো’য়ার নামে এই মুভির নাম। আবিদা একটি দোকান থেকে তার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনছিল দোকানদার তাকে বলে তুমি গত মাসের কিছু টাকা এখনো দাওনি কিন্তু তুমি আবার বাকি নিচ্ছো। তখন আবিদা দোকানদারকে বলে আমি আগামী মাসে আপনার সকল টাকা পরিশোধ করে দেব তারপর আবিদা তার মেয়ে দোয়াকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে। এটা বলে আবিদা তার মেয়ে দোয়াকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে তারা একটি বাচ্চাদের ড্রেসের দোকানে যায়। আবিদার মেয়ে দো’য়ার সে দোকানে একটি ড্রেস খুব পছন্দ হয় কিন্তু সেই ড্রেসের দাম খুব বেশি হওয়ায় সে ড্রেসটি কিনতে পারছেনা। তখন আবিদা তার মেয়ের কানে কানে যেন কি বলে দোকানদার এটা দেখে আবিদার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে যে কোন ভুত দেখেছে।
আবিদা বাড়িতে কেসে আছে আবিদাকে দেখে তার শাশুড়ি খুব চিল্লাচিল্লি শুরু করে কারণ আবিদা অনেক দেরি করে বাজার থেকে এসেছিল। আবিদা তাকে কিছুই বলেনা আর আমরা আবিদার স্বামী সোলায়মানকে দেখতে পাই। সে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিল সোলায়মানের ছিল খুব সামান্য পরিমাণে ইনকাম তাতেই পুরো পরিবারের দিন চলতো।
স্কুলের টাইম হয়ে যায়, তাই সুলাইমান তার ছেলেকে নিয়ে ট্যাক্সিতে ওঠে তাদের পিছু পিছু দোয়াও সেখানে উঠে কিন্তু তারা দোয়াকে না নিয়ে সোলায়মান শুধু তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলের দিকে চলে যায়। দোয়ার মন খারাপ হয়ে যায় সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তখন আবিদা এসেছে দোয়াকে সান্তনা দেয় এবং তাকে খেলার জন্য বলে। তখন দোয়া একা একাই খেলতে শুরু করে। আবিদা খুব মন দিয়ে তার মেয়ের খেলা দেখছিল। অন্যদিকে সুলাইমানকে দেখানো হয় সেটা ট্যাক্সি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিল কিন্তু কেউ তার ট্যাক্সিতে উঠছিল না কারণ মানুষ এখন আর পুরোনো ট্যাক্সিতে উঠতে চায় না তারা এখন Uber ব্যবহার করে। যার ফলে সুলাইমানের ইনকাম অনেক কমে গিয়েছিল তার সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হতো। শত কষ্টের মাঝেও সেই সব সময় চেষ্টা করতো তার পরিবারকে ভালো রাখার।
দৃশ্য পরিবর্তন হয় আবিদার ছেলে স্কুলের ছুটির টাইম হয়, আবিদা তার মেয়ে দোয়া কে নিয়ে ছেলের স্কুলের দিকে চলে যায়। আবিদার ছেলে স্কুল থেকে বের হয়ে আইসক্রিম খেতে চায় তখন আজকের মোলাকে দুটি আইসক্রিম দিতে বলেন একটি তার ছেলের জন্য আর একটি তার মেয়ে দোয়ার জন্য। কিন্তু এবার আইসক্রিম ওলাও খুব অদ্ভুতভাবে আবিদা দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি জানি আপনার মনে প্রশ্ন আসছে সবাই কেন অদ্ভুত ভাবে আবিদার দিকে তাকাচ্ছে অপেক্ষা করুন উত্তর পেয়ে যাবেন। পরের দৃশ্যে দেখা যায় সোলায়মান একটি লোকের কাছে গিয়েছে সে লোকটির কাছে এসেছে কিছু টাকা ধার নেওয়ার জন্য।
কারণ একদিন পর ঈদ ছিল আর আমরা তো জানি সোলাইমানের অর্থনৈতিক অবস্থা অতটা ভালো না। তখন ঐ লোকটি সোলায়মানকে বলে তুমি তো তোমার এই ট্যাক্সিতে বিক্রি করে দিতে পার আর তুমি অন্য কোন কাজ করতে পারো। সুলাইমান লোকটিকে বললো এটি আমার বাবার রেখে যাওয়া শেষ চিহ্ন এটিকে আমি কখনোই বিক্রি করতে পারবো না। সোলাইমান বাসায় ফিরে আবিদার পাশে চুপ করে বসে থাকে আবিদা সুলাইমানকে জিজ্ঞেস করে টাকার কোন ব্যবস্থা হল। সুলাইমান বলে হ্যাঁ ঈদ কাটানোর মতো ব্যবস্থা হল কিন্তু বাকি বছরটা যে কি করব তা শুধুমাত্র উপরওয়ালাই জানে। আবিদা সুলাইমানকে সান্ত্বনা দেয়, কলেজে উপরওয়ালা সবকিছু ঠিক করে দেবেন।
সোলাইমান আবিদাকে বলেন এখন আর এই ভাঙ্গা টেক্সে মানুষ করতে চায় না তারা এখন এসে গাড়ি চায়। তারা দুজন মন খারাপ করে শুয়ে পড়ে তখন তাদের মেয়ের দোয়া আবিদার পাশ দিয়ে এসে শুয়ে পড়ে। তখন সুলাইমান খুব অদ্ভুতভাবে আবেদার দিকে তাকায় মনে হচ্ছে সোলায়মান খুব বিরক্ত এবং আজব কিছু দেখেছে। পরদিন ছিল ঈদের দিন সুলাইমান সবাইকে নিয়ে বাজারে যায় ঘুরতে। ঘুড়া শেষে সবাইকে বাসায় পৌঁছে দেয়। তারপর সুলাইমান চলে যায় সবার জন্য ঈদের উপহার নিতে সন্ধ্যার সময় সোলায়মান সবার জন্য ঈদের উপহার নিয়ে বাসায় ফিরে। চোলাইমান সবাইকে যার যার গিফট দিয়ে দেয় কিন্তু দোয়া দূর থেকে এক দৃষ্টিতে সোলায়মানের দিকে তাকিয়ে ছিল কারণ তার বাবা তার জন্য কোন গিফট নিয়ে আসেনি।
তাই দোয়া কাদতে থাকে তখন দেখা যায় যে আবিদা দোয়ার জন্য সেই ফ্রগটি নিয়ে এসেছে, যেটি তারা দোকানে দেখেছিল। দোয়া ফ্রাগটি কে দেখে খুবই খুশি হয়ে যায় তখন সুলাইমান আড়াল থেকে আবিদাকে দেখছিল।
GIPHY App Key not set. Please check settings