লাউ ডিমের ঘন্ট খুবই মজাদার একটি খাবার যা গরম ভাত, রুটি বা পরোটার সাথে খাওয়া যায়। লাউ খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। লাউয়ে ভিটামিন মিনারেল এবং উচ্চমাত্রায় পানি থাকার কারণে আমাদের ত্বক ও চুল সুস্থ থাকে। হজমের জন্য লাউ খুবই একটি উপকারী খাবার। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে লাউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও লাউ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।
অন্যদিকে ডিমও একটি পুষ্টিকর খাবার। ডিমের প্রচুর ট্রিপটোফেন থাকে যা মানসিক চাপ কমায়। ডিমে মেলাটোনিন থাকায় ঘুম ভালো হয়। ডিম খেলে হাড় ও মস্তিষ্কের কোষগুলোর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
উপকরণ
ছোট সাইজের কচি লাউ – ১টা
পেঁয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ – ৪/৫ টি
আদা বাটা – এক চা চামচ
রসুন বাটা – ২ চামচ
ডিম – ২টা
ধনে বাটা – ১ চা চামচ
জিরা বাটা – ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
তেজপাতা – ২ টুকরা
ধনেপাতা কুচি – অল্প পরিমাণ
সোয়াবিন তেল – ১ টেবিল চামচ
লবণ – পরিমাণমতো
রান্না প্রণালী
প্রথমে লাউ গুলো কিউব করে কেটে রেখে দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হাতের কাছে নিয়ে নিতে হবে। যেন সহজেই সবকিছু পাওয়া যায়।
প্রথমে চুলার আঁচ মাঝারি রেখে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াইয়ে সোয়াবিন তেল এবং তেজপাতা দিতে হবে। তেল একটু গরম হয়ে আসলে তাতে কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ বাদামি রঙের করতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি হয়ে গেলে আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, ধনে বাটা, মরিচ গুঁড়া, অল্প পরিমাণে লবণ এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালোমতো নাড়তে হবে। মসলা ভাজা হয়ে গেলে তাতে দুইটা ডিম ভেঙে আবারো নাড়তে হবে এবং ডিমগুলো ভুনা ভুনা করে নিতে হবে। তারপর কেটে রাখা লাউ দিয়ে দিতে হবে। লাউ এবং মসলাগুলো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কয়েকবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষন কষে নিতে হবে। যেহেতু লাউ থেকে পানি বের হয় সেহেতু অল্পপরিমাণ মতো পানি দিয়ে লাউ ঢেকে দিতে হবে। ২৫ মিনিট রান্না হবার পর ঢাকনা তুলে কাঁচা মরিচগুলো দিয়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। এবার ১০-১৫মিনিট পর লাউ সিদ্ধ হয়ে গেলে লাউটা নেড়েচেড়ে ভেঙে নিতে হবে এবং উপরে ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে দিতে হবে। এবার চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
লাউ আমাদের নবীজির একটি প্রিয় খাবার ছিল। আমরা আমাদের খাবারে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন লাউ ডিমের তরকারি রাখতে পারি। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমরা নিয়মিত লাউ খেতে পারি। নিয়মিত লাউ খেলে আমাদের শরীরে পানির অভাব হবে না কারণ লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। তাই লাউ ও ডিমকে একটি আদর্শ খাবার বলা যেতে পারে।
GIPHY App Key not set. Please check settings