in ,

নারকেল দুধ পোলাও ও গরুর মাংস রান্নার পদ্ধতি

গরুর মাংস শুনলেই বাঙালির জিভে জল চলে আসে। আর তার সাথে যদি থাকে নারকেলের দুধ পোলাও তবে তো কোন কথাই নেই। এগুলো রান্না করা খুব সহজ এবং খেতেও খুব মজাদার। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক নারকেল দুধ পোলা ও মজাদার গরুর মাংস রান্নার পদ্ধতি।

গরুর মাংস

উপকরণঃ

  • গরুর মাংস – ১ কেজি
  • পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
  •  আদা বাটা – ২ টেবিল চামচ
  •  রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ
  •  লবণ – পরিমাণ মত
  • হলুদ গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
  • দারচিনি ও এলাচ – ৩/৪ টুকরা
  • দারচিনি গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • জয়ফল বাটা – ১ চা চামচ
  • জয়ত্রী বাটা – ১ চা চামচ
  • টক দই – ১ কাপ
  • তেজপাতা – ২টি
  • সরিষার তেল – ১ কাপ

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে গরুর মাংসগুলো মাঝারি আকারে কেটে নিতে হবে। তারপর মাংসগুলো ধুয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। পানি ঝরে গেলে অন্য একটি পাত্রে মাংস টক দই, লবণ সহ সব মসলা একসঙ্গে ভালো করে মেখে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট মেরিনেট করতে দিতে হবে।

রান্না প্রণালীঃ

কড়াইতে রান্নার জন্য এক কাপ সরিষার তেল দিন। চুলার তাপ অবশ্যই মাঝারি আঁচে রেখে তেলে পেঁয়াজ কুচি সাথে দারচিনি এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ নরম এবং বাদামি কালার হয়ে আসলে মেরিনেট করা মাংস পেঁয়াজের মধ্যে দিয়ে দিন। চুলার জাল মিডিয়াম আচে রেখেই নেঁড়ে চেঁড়ে মাংস কষিয়ে নিন। মাংস থেকে বের হওয়া পানিতেই মাংস কষাতে হবে। যতক্ষণ না মাংসের পানি শুকিয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কষতে থাকুন। মাংস কষা হয়ে গেলে আরো দুই কাপ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। পানি কমে এলে  মৃদু আচে মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে কয়েকটি কাঁচামরিচ দিয়ে অল্প আচে ১০-১৫ মিনিট দমে রেখে দেন। চুলা বন্ধের পূর্বে দারচিনি গুড়া ছিটিয়ে দিন। এবার চুলা বন্ধ করে রান্না করা মাংস নামিয়ে নিন এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

নারকেল দুধ পোলাও

উপকরণঃ

  • চিনিগুড়া চাল – ৩ কাপ
  • নারিকেল দুধ – ৩ কাপ
  • ফুটন্ত গরম পানি – ৩ কাপ
  • পেঁয়াজ বেরেস্তা – ২ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
  •  ঘি – ১/২ কাপ
  • দারচিনি ও এলাচ – ৩/৪ টুকরা
  • আদা বাটা – ১/২ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা – ১/২ টেবিল চামচ
  • লবণ – পরিমাণ মতো
  • গরম মসলা – ৩ টুকরা
  • তেজপাতা – ২টি
  • চিনি – ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে  চিনিগুড়া চাল ভালো করে ধুয়ে একটি ছাঁকনিতে পানি ঝরাতে দিতে হবে এবং রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো একসঙ্গে করে হাতের কাছে নিয়ে নিতে হবে।

রান্নার পদ্ধতি

চুলা অল্প আঁচে রেখে পাতিল বসিয়ে দিন। পাতিলে ঘিঁ ঢালুন, ঘিঁ গরম হলে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, গরম মসলা, তেজপাতা, দারচিঁনি, এলাচ  দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ বাদামি হয়ে আসলে আদা বাটা ও জিরা বাটা  দিয়ে মসলাগুলো ভাজা ভাজা হয়ে আসা পর্যন্ত নাড়ুন। শুকিয়ে রাখা চিনিগুড়া চালটা পাতিলে ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। চাল ভাজা হয়ে গেলে এতে নারিকেল দুধ এবং ফুটন্ত গরম পানিটা দিয়ে পরিমাণ মতো লবণ এবং চিনি ছিটিয়ে দিন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিন। পানি প্রায় শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে পাতিলের মুখটা ভালো করে ঢেকে দিন। ১০-১৫ মিনিট পরে চুলা বন্ধ করে চুলা থেকে পাতিলটা নামিয়ে নিন। এবার পাতিলের মুখটা খুলে উপরে পেঁয়াজের বেরেস্তাটা ছিটিয়ে দিন।

নারিকেল দুধ পোলাও এবং গরুর মাংস কোন ঝামেলা ছাড়াই সহজে রান্না করা যায়। তাই হঠাৎ মেহমান চলে আসলে এই খাবার দুটি রান্না করে  গরম গরম পরিবেশন করুন।

Report

What do you think?

Written by Dilara Hossain

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

কিভাবে বুঝবেন আপনি শারীরিক ভাবে ফিট আছেন কিনা?

মুগডাল ও বাসমতি চাল দিয়ে ভুনা খিচরি বানানোর পদ্ধতি