কিডনি রোগ বর্তমানে বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। কিডনিতে পাথর, পানি জমে যাওয়ার মত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। প্রাত্যহিক জীবনে অনিয়ম কিডনে অসুখের প্রধানতম কারণ।নিয়মিত বাইরের খাবার খাওয়া, পানি কম পান করা, তেল মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার বদ অভ্যাসে কিডনির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
মানুষের প্রত্যেকটা অংগ প্রত্যাংগ সুস্থ থাকার মানে একজন মানুষ সুস্থ। মানুষের কিডনি যত বেশী ভাল থাকবে সে দীর্ঘ সময় ততবেশী সুস্থ থাকবে। কিডনি ভালো মন্দের উপরে নির্ভর করে শরীরের সুস্থতা। একটি শরীরের কিডনি ভালো রাখার জন্য শরীরে প্রতি যত্ন নেওয়া খুব প্রয়োজন। নিজেকে খুব সচেতন থাকতে হবে, নিয়মের মধ্যে নিজের জীবন পরিচালনা করতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার কারণে অধিকসংখ্যক মানুষ আলাদা করে শরীরের যত্ন নেয়ার সুযোগ হয় না। আর এটা হল হেয়ালি পনা। এই অসচেতনতার কারণেই ঘটে বড় ধরণের বিপদ। আমরা এখন জানবো কোন কোন অভ্যাস থেকে দূরে থাকলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে, এবং আপনি সুস্থ থাকবেন। আসুন এসব বিষয় নিয়ে আমরা নিম্নে আলোচনা করব।
১ দেহে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন সেই পরিমাণ পানি আমাদেরকে অবশ্যই পান করতে হবে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। একজন মানুষ যখন নিজেকে সুস্থ মনে করবে, তখন সে সময় পরিমান মত পানি পান করবে। আর শরীরে কোন অসুবিধা থাকবে। সে কারণে শরীরে পানির প্রয়োজন কতটুকু চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সেই অনুসারে পানি পান করবেন। শরীরে কোন জটিল অসুখ থাকে তবে যত টুকু পানি পান করা প্রয়োজন ততটুকু পানি করবে। আবার সেই ক্ষেত্রে পানি যদি বেশি পান করা হয় তাহলে কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে।
২) কিডনির জটিল সমস্যার অন্যতম কারণ হলো প্রস্রাব সময় মত না করে প্রস্রাব কে চেপে রাখা। স্বভাবতই রাস্তাঘাটে বা বাড়িতে থাকলেও কাজের চাপে অনেকেই সঠিক সময়ে প্রসাব করে না। প্রসাবের বেগকে অতিমাত্রায় চেপে রাখে, এবং মূত্রনালীতে অতিমাত্রায় চাপের কারনে কিডনির ক্ষতি হতে শুরু করে। লম্বা সময় ধরে প্রসাব ধরে রাখার ফলে শরীরবৃত্তীয় কাজে বাধা প্রাপ্ত হয়। সময় মত শরীর থেকে টক্সিন বের হয় না বলে শরীরের সংক্রমণ দেখা যায়।
৩) আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব। নিয়মমাফিক খাবার গ্রহন করে না। স্বাস্থ্য সচেতন সর্ম্পকে উদাসীন হওয়ার কারণে উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থা কারণে কিডনিও আক্রান্ত হয়। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, এবং রক্তে শর্করার পরিমান কোনভাবেই বৃদ্ধি হতে দেয়া যাবে না কিডনি ভালো রাখতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা খুব প্রয়োজন, এর জন্য রোজ নিয়মিত হাটাহাটি শরীরচর্চা খাবারের মেনু সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী।
৪) আমাদের আরেকটা খারাপ অভ্যাসের মধ্যে রয়েছে শরীরে কোন অংশে একটু ব্যথা অনুভব হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজেই ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন করে থাকি। অতিমাত্রায় ওষুধ সেবন শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে, বিভিন্ন অর্গানগুলোকে অকার্যকর করে দেয়।বিশেষ করে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাথানাশক বা অন্য কোন রকমের ঔষধ সেবন করা উচিত নয়।
৫) কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আর একটা মূল কারণ হলো শরীরের অতিরিক্ত ওজন। কিভাবে শরীরের স্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় সেইদিকে প্রত্যেকেরই বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সে জন্য প্রতিদিন নিয়মমাফিক খাবারের মেন্যু বজাই রাখা ,হাটাহাটি, শরীরচর্চা মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে।
GIPHY App Key not set. Please check settings